
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পুনর্বহালের দাবিতে করা আন্দোলনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন,পশ্চিম দরগাহ বিল এলাকার আব্দুল মজিদের কন্যা আফরোজা, রামুর নুরুল আলমের কন্যা সুমাইয়া বাশারী ও উখিয়ার হলদিয়া এলাকার ইসলাম মিয়ার কন্যা ইয়াছমিন আক্তার। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় আফরোজাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। উখিয়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
এ সময় আন্দোলনকারী সমন্বয়ক জিনিয়া, নওশাদ, ছাত্র প্রতিনিধি শামীম ও রানা সহ অন্তত ২০ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা আন্দোলনে অংশ নিতে আসলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ক্যাম্প এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় বাংলাদেশি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। তবে অর্থ সংকটের অজুহাতে ইউনিসেফসহ কয়েকটি এনজিও সম্প্রতি একযোগে ১ হাজার ২০০-এর বেশি শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন।
এর আগে সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা কক্সবাজার-টেকনাফ শহিদ এটিএম জাফর আলম মহাসড়ক অবরোধ করেন। টানা পাঁচ ঘণ্টার ওই অবরোধে উভয় পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে এবং যাত্রী-চালকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই আন্দোলনে নামা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় ছিল না।
স্থানীয় শিক্ষক নেতা সাইদুল ইসলাম শামীম সে সময় বলেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে হবে ।
পাঠকের মতামত